স্বপন কুমার মৃধা (মুম্বাই)
ভালো লাগেনা এ পৃথিবী আর
মরুময় শুষ্ক বেদনার স্তুপ একরাশ,
মায়াহীন সংসার হতাশার খেলাঘর
আমি আছি শুধু এক জীবন্ত লাশ।
তাপ দগ্ধ বিষাক্ত বায়ু উত্তাল পৃথিবী
কালো মেঘে ছেয়েছে প্রলয় আগমনী,
হিংসার দাবানল চারিদিকে হাতছানি
গর্জনে কাঁপছে প্রাণ বিনিদ্র রজনী।
কেন কেড়ে নিলে চুয়াল্লিশটি তাজা প্রাণ ?
রক্তের আলপনায় ভারত ভূতল,
নিস্তব্ধ শোকাহত আকাশ বাতাস
হারিয়ে গেল বীর জওয়ান, অসহায় মায়ের কোল।
একশো আটত্রিশ কটি মানুষকে যারা
বুক দিয়ে আগলে রাখে নিশ্চিন্তে ঘুম পাড়ায়,
এদেশের কোনে কোনে গোপনে
থাকে তারা অতন্দ্র পাহারায়।
জীবনকে রাখে যারা হাতের মুঠোয়
ক্ষুধা তৃষ্ণা নিদ্রা নেই জীবনে,
প্রিয়জনের স্নেহ ভালোবাসা দূরে থাক
বারুদের গন্ধ ধোঁয়াশা উবে যায় মনে।
তোমার আমার পৃথিবীর সুখের রাত্রি পোহালো-
পেলাম এক ঝলমলে ফুটন্ত সকাল,
যারা আছে মরুময় গিরি পর্বতে
শত্রুর মোকাবিলায়, এখনো তাদের বিকেল।
তাই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা দেখতে চাই না আর,
রক্তের হোলি খেলায় এ ভুবন রাঙাতে চাইনা আর।
এ হিংসার লড়াই খুনোখুনি দূর হয়ে যাক
দানব আত্মা নিপাত যাক,
ভালোবাসা মানবতা আসুক অন্তরে
ভেদাভেদ ভুলে এক আত্মা হয়ে যাক।
বীর জোয়ানের রক্তে রাঙানো ভারতের মাটি
শোকাহত মায়ের চোখের জলে ভেজা পথে
বীর শহীদের অশরীরী আত্মা
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ঘুরে বেড়াবে প্রতিরাতে।
স্বজন হারানোর মরমী ব্যথায়
কাঁদছে গ্রহ তারা কাঁদছে ভারতবাসী,
সন্তানহারা জননী কাঁদছে
পাঁজরভাঙ্গা দুঃখ রাশি রাশি।
জানি এ দুঃখের দিন যাব ভুলে
প্রতিকারের শান্তি যদি আসে অবনী পরে।
যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই বারুদের গন্ধ যাক মুছে,
বন্ধ হোক হিংসা কামানের গোলা গুলি
হারিয়ে গেল যারা আবার ফিরবে কি তারা ?
তাদের চরণে আমার শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি।