The Poet's Pen 20s Logo

Thursday, December 30, 2021

বিপরীতমুখী

 (কবিতা)

তাপস সরকার


মন্দা জমির ওপর

হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে 

ফসল করেছিলাম সুখের,

ভেবেছিলাম সংসার ডালে

টুনটুনি এসে 

গাইবে প্রেমের গান,

স্টিলের থালায় রঙ্গ বদলাবে- 

খাবার শেষে

কাশারের থালায় দেখব বৃহষ্পতি; 

কঠিন শীতে জমাট হলে

ওভেনের শিখায় আগুন পোয়াব

খড়ের আগুন ফেলে,

ভেবেছিলাম কাগজের টাকা 

কাগজ থাকবে- 

সুখ কিনতে মনটা লাগবে ভারী, 

নারীর চোখে রোমান্স থাকবে- 

শরীরের প্রার্থনা সর্গ হবে- 

মনের যত্ন মনে হবে সে সুখ আহামরি;


আহা, কি সুন্দর সে সংসার হত!

প্রেমিকার ঠোঁটে হৃদয় হাসলে

সুখ দেখতাম শিশুর নরম পায়ে,

কেউ বিশ্বাস করে জানতে চাইলে 

হৃদয়ের ছাঁচে আদর্শ গড়তাম 

নিজের মত যোগ্য প্রাসাদ করে…


আজ ফসল ঝরা ক্ষেতে 

দু একটা দানা অঙ্কুর হয় 

তাতে সারস কাকের ঠোঁটের যত ভয়, 

কই ঘর, কই সংসার? 

আজ সে বদ্ধ সংসার ঘরের ইট ক্ষয়ে 

নুয়ে পড়ছে ঝড়ে, 

আজ শুধু কিছু কাঁচা ইট 

নরম কাদার 

লাল আগুনে জ্বলে, 

শিশুর কান্না, ক্ষুধা, জন্ম 

শোনা যায় 

যেখানে সেখানে,

বুক ছিড়ে ভাটার চিমনি বের হয় 

তাতে কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী করে 

আমার শিশুর নামকরণ হয়,

আমি শিশু কোলে 

অনুভব করি প্রসব যন্ত্রনা-

তবু বিপরীতমুখী মন, রাজপ্রাসাদের বড় সংশয়।।

#mystic_purist

Sunday, December 26, 2021

জীবন্ত বহুদূর

 (কবিতা)

তাপস সরকার


পশ্চিমের বাতাসে শিসের ধান খসে পড়ে,

মাটির ফাটলে থুবড়ে পড়ে তার ভবিষ্যৎ;

সন্ধ্যার আগে তার বাড়ি ফেরাই সংগ্রাম,

বাড়ি ফিরেও লোহিত রক্তে নেই প্রবাহের নাম;

বিজন পথে সে ক্ষুধার্ত যুগযুগ ধরে,

তবু সে চলমান রক্তহীন সম্মানহানি, জীবন্ত বহুদূর;


Tuesday, December 7, 2021

Free Mind

(poetry)

Piku Dubey


My mind is free

Because I connect it near the sea

Where fishes are playing

And birds are chirping on tree;


My mind is free

Because sun flowers smile at me

When I see;


My soul is so free

Because I fly and sit a moment on flowers

And make sweet like honey bee;


My mind is free

Because, once, I opened the door of my heart

And now I've lost the key.



Saturday, November 27, 2021

ফিরবে বলে

(উপন্যাস/Novella)

তাপস সরকার

পর্ব ১



কিছুক্ষণ হল সূর্য ডুবেছে। শীতের সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাস কান ঘেঁষে যাচ্ছে বুঝতে পারছি। মাঠের সবুজ ঘাসগুলি ধীরে ধীরে কালো রঙের চাদরে জড়িয়ে যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে। কেবল আমরা দুজন কালো পাহাড়ের মত ওদের মাঝে জেগে বিড়বিড় করে বকে যাচ্ছি। আমি একটা হাই তুলে দীর্ঘ্য শ্বাস ফেললাম। 

শঙ্কর পকেট হাতড়ে কুচকানো প্যাকেট থেকে একটা বিড়ি বের করে বলল, "খাবি! 

আচ্ছা তুই তো আবার খাস না।"

"আর একটাই আছে, আমিই লুফি।"

আমি বললাম, "আরে ভাই কোনো ব্যাপার না, খেয়ে নে, খেয়ে নে।"


    শঙ্কর দেশলাই বের করে দু তিন বার ছ্যাঁক ছ্যাঁক করে বিড়িটায় আগুন জ্বালল। হালকা অন্ধকারে জ্বেলে ওঠা বিড়ির আগুনের ফুলকিতে দেখলাম ও চোখ বন্ধ করে একটা সুখটান দিচ্ছে।

আমি আঁড় চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, "ওহ্, সেই মজা নাহ্! বিড়ি শিল্পে বড্ড পারদর্শী হয়ে উঠেছিস দেখছি।" 

ও কোনো কথা বলল না।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ওর কোনো উত্তর পেলামনা। আমার ভেতরটায় মনে হল মস্করা করতে গিয়ে ভুল করে ফেললাম নাকি। আসলে আচমকা এরকম একটা স্তব্ধতার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলামনা। তাই লাল সূর্যের ক্রমাগত কনকনে অন্ধকারে আমি নিজে নিজেই অপমানিত বোধ করলাম। ওর সঙ্গে প্রায় অনেক দিন পর দেখা, ফোনেও ঠিকঠাক কথা হয়নি। ও একটু অন্য রকম, কথা কম বলার দর্শনে বিশ্বাসী। জানিনা এই ক-বছরে ওর ভেতরে আমাদের সাহিত্যরস ও জীবন সমকক্ষতার স্বাদের পরিবর্তন হয়ে গেছে কিনা। আমি দুর্বল হৃদয়ে ওর দিকে চেয়ে রইলাম। 


    দ্বিতীয় সুখটান দিয়ে শঙ্কর বলল, "আরে মজা মানে! বলিস কি এডা ছাড়া কি আর এত দিন বাঁচতে পারতাম?" 

"তুই তো কবিতা, রিসার্চ, চাকরি নিয়ে একটা রুটিন মাফিক জীবনে চলিস, তোর সুখ আলাদা হবে।

তবে ভাই এই একটা বিড়িই আমার জীবন। যা কিছু করি, যা কিছু করায় এই বিড়ি।" 


    আমি ওকে আটকাতেই বললাম, "চল আর উচ্চ মানের গালি দিসনা। শিক্ষা, চাকরি, টাকাই সব কিছু না, জীবনের লক্ষ্য আমাদের সবার আছে অন্য ভাবে।" 


    বিড়ি ঝেড়ে শঙ্কর বলল, "শুনলাম তোর জ্ঞান, আচ্ছা চল এখন একটু সাহিত্য চর্চায় আশা যাক, যে বিষয়ে আজ আমাদের আলোচনা করার কথা।" 


"আচ্ছা চল" আমি বললাম। 


"সাহিলের ফেসবুকে কদিন আগে একটা কবিতা পড়েছিলাম, তুই পড়েছিস? শঙ্কর বলল।


"না রে।" 


"তাই। তোরা ব্যস্ত মানুষ, প্রফেসর, তোদের কি আর সময় হয়!"


"আরে ভাই। কয়েক মাস একটু ব্যাস্ত ছিলাম রিসার্চের কাজে। তাই ফেসবুক টা ঘাটা হয়নি তেমন। যাইহোক দেখব।


"হুম। কবিতাটিতে রাজনীতি ও ধর্ম কে নিয়ে লিখেছে ও। ভালো লিখেছে, কিন্তু শেষে একটা লাইনে লালদের নিয়ে অতিরিক্ত বলেছে। সাহিত্যের ভাষায় যাকে বলে অতিরঞ্জন। যাইহোক সেটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার।"


"এটা ঠিক নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়েই তো আমাদের সব লেখা।" 


"তা ঠিক। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা স্বাভাবিক জিনিসগুলোকে এত অস্বাভাবিক করি অনেক সময় সেগুলি কেমন যেন অকৃত্রিম, অযৌক্তিক দেখায়।" 


"ঠিক বলেছিস, ঠিক বলেছিস। লেখা লিখলেই সবকিছু হয় না। লেখার মধ্যে যদি সত্যের সঠিক স্বাদটা নাই থাকল, সে লেখায় লাভ নেই। সে যত বড় লেখক বা বই প্রকাশক হোক।" 


"হ্যাঁ, আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করবি একজন নামি লেখকের সব লেখা কিন্তু ভালো স্বাদ দিতে পারেনা। পুরোটাই নির্ভর করে লেখকের অভিজ্ঞতা, পরিবেশন, শব্দযোগ, অবশেষে একটা ভালো প্রকাশন। তাছাড়া এখন তো ফেসবুক, ইনস্টাতেই ভালো ভালো কবিতা কাহিনী পড়ি।" 


"হুম, তোর সঙ্গে এক্কেবারে সহমত। চল তুই একটা কবিতা শোনা আজ। অনেক দিন হল তোর মুখে কবিতা শুনিনি, ওই গুগল মিট-এ শুনিয়েছিলিস একবার।" 


    শঙ্কর বিড়িতে শেষ টান দিয়ে বলল, "আহ্; আমার কবিতা! শুনবি তুই?"


"হ্যাঁ রে ভাই শোনা। এই জন্যই তো আজকের এই বিশেষ সাক্ষাৎ। দাড়া, আমাকে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চালাতে দে।" 


"হুম... চালা। ততক্ষণে আমি খুঁজছি কোনটা শোনাব তোকে।"


    ফোনের ভলিউম বাড়িয়ে আমি বেনসাউন্ড ডট কম থেকে 'গ্রীন-প্ল্যানেট' মিউজিক চালিয়ে দিলাম। ততক্ষণে শঙ্কর ওর কবিতা বের করেছে। আমি দেখলাম অন্ধকার থেকে ও ঝুঁকে পড়েছে ওর ফোনের উজ্জ্বল ডিসপ্লের ওপর। আমার ফোনে 'গ্রীন-প্ল্যানেট' বেজে চলেছে আপলিফ্ট মুডে। আমি স্থির চোখে ওর ঝুঁকে পড়া মগ্নতায় চেয়ে আছি। আমার চোখের সামনে আমি অনুভব করছি এক সত্যিকারের জ্বলন্ত কবি সত্তাকে। শঙ্কর স্পষ্ট শব্দ ও ছন্দে ওর কবিতা পড়ে চলেছে: 



ওদের চোখে অন্ধকার 

                  আমার বিশাল চিৎকার,

ওরা সবাই আলো খুঁজে 

                  উল্কা, তারা, নক্ষত্রে; 

ওরা গল্প খেয়ে গাঁজা দেখে 

                   ভিখারীর ক্ষুধায়,

ওরা ন্যাংটা হয়ে সমাজ গড়ে 

                   পোশাক কেনা বেচায়;

ওরা শিক্ষা বেচে মানুষ কিনে 

                   মানুষ কিনে শিক্ষা বেচে, 

ওরা নিকৃষ্ট সভ্যতার বুকে 

                   উৎকৃষ্ট মুখোশ মানুষ সেজে; 

ওদের ধর্ষণে আজ আমি বিষাক্ত 

                   নপুংসক ভ্রূণের ভবিষ্যতে,

আমি মৃত্যুকে আজ আপোষ করি 

                   আমার সবুজ রক্ত সংশোধনে;

আজ আমার শরীর হৃদয় থেকে আলাদা

                   হৃদয় জ্ঞানের নেশায় ঘোরতর,

আমি চিৎকার করি রক্ত চাই রক্ত চাই,

                  সবুজ রক্তে আমায় রঙিন কর; 

আমার চিৎকারে পাহাড় ভেঙে পড়ে 

                  গলে সূর্যের তাপে বরফ পাহাড়,

শুধু তোমরা আজও বদ্ধ ঘরে ঘরে 

                   জ্ঞান, হৃৎপিণ্ড, রক্ত বেচেঁ অন্ধকার; 

একি! আজ দীর্ঘ্য সময় পর

               তোমরা আমায় কঙ্কাল দেখো? 

হ্যাঁ, আমি মৃত কয়েক দশক আগে 

               তোমরা মৃত ভ্রূণ হয়ে আমায় স্মরণ করো...

Friday, November 19, 2021

অন্ধকার, এক পৃথিবী

 (ছোটগল্প)
তাপস সরকার

দৈনন্দিন রুটিনের অধিকাংশ কাজগুলি সেরে, হাতে একটি ইংরেজী ট্রান্সলেটেড অ্যান্থলজি নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছিলাম, ভেবেছিলাম ভালো একটা কবিতা দেখলেই টুক করে পড়ে নেব। কিন্তু মন মতো খুঁজে পাচ্ছিলামনা। হয়তো হেডিং দেখে পড়ার আমার যে একটা বাতিক আছে, তাই মনের হুকুমে অস্বাভাবিক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এভাবে চলতে চলতে বইটির মোটামুটি মাঝখানে গিয়ে আঙ্গুল থামল। দেখলাম, কবিতার হেডলাইন লেখা আছে "Love", লিখেছেন রুমি, ত্রয়োদশ শতকের একজন বিখ্যাত পার্শিয়ান ইসলামিক স্কলার ও কবি। যদিও দীর্ঘ্য সময় ধরে এই "Love" শব্দকে কেন্দ্র করে আমার লিখালিখি প্রায় বিরত আছে, কিন্তু আজকে লেখার সাথে সাথে পড়ার অনুভূতিটাও কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছিল। অগত্যা, জলদি মনস্থির করে ফেললাম, বইটি দুভাগে ভাগ করে ডানদিকের অংশে ফোনটি রেখে পড়তে শুরু করলাম। 


    প্রথম চার লাইন শেষ করে কবিতার দ্বিতীয় চার লাইন শেষ করতে না করতেই শুনলাম দরজায় কেউ খট্ খট্ করে আওয়াজ করছে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করে থাকলাম। আবার বাজল। দরজা খুলতেই দেখি পাশের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ভদ্রমহিলা এসেছেন উনার তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে, হাতে একটি প্লেট। আমি একটু ইতস্তত হয়েই তাকিয়ে রইলাম, বললাম "আচ্ছা আপ"! তারপর উনি প্লেটটি বাড়িয়ে দিয়ে বললেন "কুচ ব্রেড অর ফ্রাই রাইস হ্যা, রাখ দিজিয়ে", "your roommates didn't come yet?" আমি বললাম, "নেহি, maybe on 17th they will come. আমি প্লেটটি নিয়ে রান্না ঘরে রাখতে যাচ্ছি, উনি বললেন তখনই প্লেটটি ফেরত দিতে। তাই খাবার গুলি আমার প্লেটে রেখে ফেরত আসলাম দরজার দিকে। দেখলাম উনি দাড়িয়ে আছেন। প্লেটটি ফেরত দিলাম। ছোটো বাচ্চাটিকে দু একবার হাই হ্যালো বললাম, কিন্তু সে লজ্জা পাচ্ছিল। কোনো কিছু না বলে মায়ের ওড়না ধরে লুকোতে চাচ্ছিল। তখনই ভদ্রমহিলা বললেন " আব তোহ আপ ইহা রহেঙ্গে নাহ, থোড়া ইসকো পড়ায়েঙ্গে?" আমি বললাম " ভাবিজি আব তোহ ইতনা টাইম নহি হামারা পাস, actually we are having exam on 25th of this month." কোই বাত নহি থোড়া আধা ঘণ্টা ব্যাস, লাস্ট টাইম হাম লোগ যাদা দিন নহি রহা ইসবার রহেঙে...।"


    এমনিতেই না বলার সঠিক পদ্ধতিটা আমার জানা খুব কম। আমি বেশ কিছুবার না বলা সত্ত্বেও উনি বার বার জোর করতে লাগলেন। শেষমেষ, আমি বললাম, " ঠিক হ্যা ভেজ দিজিয়ে কাল, ৬ পিএম।" "ওকে", বলে পরে পরেই উনি বিদায় নিলেন। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে টেবিলের সামনে এসে বসলাম। বাইরে একটু অন্ধকার নেমেছে। মন স্থির করতে পারছিলামনা দ্বিতীয়বার পড়া শুরু করার। এদিকে জানলা দিয়ে খুব কম আলো বইয়ে প্রতিফলিত হচ্ছিল তাই দেখতেও অসুবিধে হচ্ছিল পড়ার অংশটি। হঠাৎ দেখলাম ফোনের সময়, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পার হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার আর অর্ধেক পড়ে রাখা কবিতাটি পড়ার ইচ্ছে হলনা। ভাবলাম এখুনি অন্ধকার হয়ে যাবে, যাই একটু ছাঁদ থেকে ঘুরে আসি। বদ্ধ ঘরের প্রেমের কবিতার পৃথিবীর চাইতে খোলা আকাশের নিচে পায়চারী অনেক স্বাস্থ্যকর ও সুখ। 


    রুমির প্রেমের কবিতা আর পড়া হলনা। গায়ে একটা ফুল শার্ট জড়িয়ে, হেডফোনটি কানে গুঁজে সিড়ি বেয়ে ছাঁদের দিকে উঠতে লাগলাম। উঠতে উঠতে রুমির কবিতার শেষ অংশটি মনে করতে চেষ্টা করলাম যেটি কিছুক্ষণ আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু কিছুতেই, স্থির হয়ে শেষের লাইনটি মনে করতে পারছিলামনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হতে লাগল। আমি উপরে উঠতে লাগলাম। ছাঁদের সিড়ির দরজা খুলে দেখলাম লালচে আকাশ, তাতে নীল কালো রঙের কিছু ছাপ। দুর্বল ধূসর মেঘগুলো এলোমেলোভাবে এদিক ওদিক ছড়িয়ে। পূর্ব দিকের আকাশ কিছুটা ঘন অন্ধকার। ছাঁদের ডানদিকে দেখলাম কেউ আগুন জ্বালিয়েছে, সেই আগুনের ঝোঁপ থেকে একগুচ্ছ ধোঁয়া আঁকাবাঁকা লেনের মতো উপরে উঠে যাচ্ছে। বাঁদিকের একটি বাড়িতে কিছু ছেলে মেয়ে দীপাবলি আর ছোট পূজার লাইটিং তারগুলি খুলছে। ওদের কথোপকথনের দু একটা অস্পষ্ট হিন্দি শব্দ শোনা যাচ্ছিল। আমি পশ্চিমে ডুবে যাওয়া সূর্যের লাল রঙের ফাঁকে ফাঁকে ধোঁয়াশা মেঘগুলো দেখছিলাম। কানে হেনরিক ফ্রেকল্ডারের "Lonely World" শুনছিলাম। ধীরে ধীরে লাল রং ফ্যাকাশে হচ্ছিল, আমি হাঁটতে হাঁটতে ছাঁদের পূর্ব দিকের রেলিং এর পাশে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। কিছুটা দূরেই শহরের মেইন রাস্তার ব্যস্ততা। আমি দেখছিলাম মোটর গাড়িগুলোর লাল হলুদ রঙের আলোর ছায়ায় লোকেদের হাঁটাচলা । তাদের কেউ দ্রুত হাঁটছে কেউবা ধীরে। কেউ আনমনা, আবার কেউ ব্যস্ততায়। গতির যে পরিবর্তন ধর্ম আছে তা আমি বুঝতে পারছিলাম দূরের ওই অজানা মানুষদের গতির পরিবর্তনশীলতা দেখে। স্থির হয়ে আমি তাকিয়ে রয়েছিলাম। কানে চিৎকার করা "Lonely World" এর বিদেশি সুর আর ভালো লাগছিল না। মনে হচ্ছিল চিৎকার করে কাউকে ডাকি, কি করছে ওরা সব? এখনও ভিড় রাস্তায় কেন? নাকি আজকে আবার কোনো উৎসব? যদিও নিজের প্রশ্নের উত্তর আমি জানতাম। তবুও বারবার কাউকে ডাকার ইচ্ছে হচ্ছিল, হোকনা সে অজানা। মনে হচ্ছিল ওদের ভিড়ে কেউ লুকিয়ে আছে। হয়তো কেউ ওই রাস্তার ভিড় থেকে আমায় ডাকছে। কিন্তু সারা দেব কাকে? সবার মুখ যে আবছা ক্রমশ উবে যাওয়া ওই অন্ধকারে। দূর থেকে হলেও অজানা লোকগুলোর চলমান ছায়ায় আমি কিছু একটা দেখতে পাচ্ছিলাম। যেন এক দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবী। ওই অন্ধকার কেন জীবন্ত, ওর মাঝখানে আমি তখন দেখতে পাচ্ছিলাম আমার পরিবার, আমার গ্রাম, গ্রামের হারিয়ে যাওয়া মানুষের মুখগুলি, হরিবাসরের পূজা, পুকুরের পাহাড়ের ক্রিকেট, ছোটবেলার স্কুল শিক্ষক, স্কুল সাথীরা, ছেঁড়া নোটবুক, মার্বেলের গুটি, আলুপোড়া, বাসের টিংলিতে ঘুঘু, গোরুর খড়ের খাঁচা, শীতের ঘরোয়া পিকনিক, তাল কুরোনো, আম চুরি, সব এলোপাথাড়ি। অন্ধকারের মধ্যে যেন স্পষ্ট এলোমেলো পরিচিত ছবিগুলি আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। 


    কিছুক্ষন, এভাবেই স্থির হয়ে আমি তাকিয়ে ছিলাম ওই ভিড়ের রাস্তার দিকে। ওই ভিড়ের আলো আমার চোখকে নিপীড়ন করছিলনা আর। বরং ভিড়ের আলোর অন্ধকারে আমি খুজে পেয়েছিলাম আমার হারিয়ে যাওয়া পৃথিবী। হেডফোনের আওয়াজের ইংরেজি গানের শব্দগুলো আর সঠিক উচ্চারিত হচ্ছিলনা কানের ভেতর। কেবল মনে হচ্ছিল একটা অজানা ধুনের সুরে আমি আজকের এই সন্ধার পরিবেশ দেখছি। জানিনা এটা উপভোগ নাকি নস্টালজিয়ার এক চরম পর্যায়। নাকি সচেতন আর অসচেতন মনের মধ্যে চলছিল এক অনুভূতির বিপ্লবী বোঝাপড়া। আর এই বোঝাপড়ার মাঝে রিমিনিসসেন্স বার বার ঢুকে পড়েছিল অস্বাভাবিক-স্বাভাবিক ও সচ্ছলভাবে। সঠিক বিশ্লেষণ জানা নেই আমার। শুধু এটুকু বুঝেছিলাম আজকের সন্ধ্যা ছিল একটু অন্যরকমের। জীবনের একটি প্রকোষ্ঠ একটু অন্যরকম স্বাদে গছিয়ে রাখতে পেরেছিলাম আজ বা পেরেছি। আমি জানি, প্রতিদিনের মতো খালি চোখে দেখলে এই অনুভূতি অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক থাকত। বিশ্বাসের একটা নতুন সংজ্ঞার সংযোজন হয়েছিল আমার স্মৃতিতে। সেই বিশ্বাসই বারবার আমাকে বলছিল, "সাড়ে পাঁচটার পর আবার একই রকম সন্ধ্যা নামবে। আবার অচেনা মানুষের ভিড়ে অন্ধকার নেমে আসবে।" আর আমি আবার খুঁজব আমার হারিয়ে যাওয়া পৃথিবী। তা যে কোনো অন্ধকারেই হোক, আমার বদ্ধ ঘরে কিংবা দুরবর্তী ভিড়ে। এখন শুধু অপেক্ষা ফিরে আসা ওই একই সন্ধ্যাবেলার। 


    পশ্চিমের আকাশেও তখন ঘন অন্ধকার নেমে গিয়েছিল। দু একটা তারা মিট মিট করলে নভেম্বরের অর্ধেক চাঁদ গর্বের সঙ্গে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। আমি অনেক প্রতিশ্রুতি ও বিশ্বাস নিয়ে আবছা সিঁড়িগুলির ধাপ বেয়ে এক-পা দু-পা করে ফিরে এসেছিলাম আমার অ্যাপার্টমেন্ট এর রুমে। 


Saturday, November 6, 2021

Speak not a word of truth

 (Poem)

Tapas Sarkar


Listen,

Truth is not always a beautiful thing, 

As not all beauty is ever true. 

The truth we know what we perceive,

But, what we cannot perceive speaks a million truth;


With truth we try to be perfect,

With perfection we pretend to be truth,

We live in illusion of perfection to be at the top

Or to make some others perfect we never stop; 


Not a truth is always truth,

It flickers like a bushfire, it gets burnt, it dies,

Again it gets reborn, it flies, and it flies...

More you play with it, far you go away from it,

More you come closer to it, the farthest you live without it, 

Truth is endless with no border line,

A body is too little to measure its pure divine;


So, what to do!

Living with no truth?

Or, a truth with no trust! 


Ok, worry not a drop,

I have a solution-

"If your journey is long like an endless horizon,

If your story is unhappy like a footpath death,

Speak not a word of truth, they won't hear;

Rather, you be a moth simply harvesting the nights,

Or, soar up in the sky like a chatak (clamator) smelling the rains,

But, speak not a word of truth, let it be unheard;

Because, neither you, nor the truth has an ultimate sense, 

All you, I, and they do is simply living and acting, 

And complicating the ways of perceptions;

So, to the way of perfection speak not a word of truth, 

Let your truth be unspoken, let it be unheard."


                                   


Friday, October 29, 2021

শ্রদ্ধাঞ্জলি

 স্বপন কুমার মৃধা (মুম্বাই)


ভালো লাগেনা এ পৃথিবী আর

মরুময় শুষ্ক বেদনার স্তুপ একরাশ,

মায়াহীন সংসার হতাশার খেলাঘর

আমি আছি শুধু এক জীবন্ত লাশ।


তাপ দগ্ধ বিষাক্ত বায়ু উত্তাল পৃথিবী

কালো মেঘে ছেয়েছে প্রলয় আগমনী, 

হিংসার দাবানল চারিদিকে হাতছানি

গর্জনে কাঁপছে প্রাণ বিনিদ্র রজনী।


কেন কেড়ে নিলে চুয়াল্লিশটি তাজা প্রাণ ?

রক্তের আলপনায় ভারত ভূতল, 

নিস্তব্ধ শোকাহত আকাশ বাতাস

হারিয়ে গেল বীর জওয়ান, অসহায় মায়ের কোল।


একশো আটত্রিশ কটি মানুষকে যারা

বুক দিয়ে আগলে রাখে নিশ্চিন্তে ঘুম পাড়ায়,

এদেশের কোনে কোনে গোপনে

থাকে তারা অতন্দ্র পাহারায়।


জীবনকে রাখে যারা হাতের মুঠোয়

ক্ষুধা তৃষ্ণা নিদ্রা নেই জীবনে,

প্রিয়জনের স্নেহ ভালোবাসা দূরে থাক

বারুদের গন্ধ ধোঁয়াশা উবে যায় মনে।


তোমার আমার পৃথিবীর সুখের রাত্রি পোহালো-

পেলাম এক ঝলমলে ফুটন্ত সকাল,

যারা আছে মরুময় গিরি পর্বতে

শত্রুর মোকাবিলায়, এখনো তাদের বিকেল।


তাই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা দেখতে চাই না আর,

রক্তের হোলি খেলায় এ ভুবন রাঙাতে চাইনা আর। 


এ হিংসার লড়াই খুনোখুনি দূর হয়ে যাক

দানব আত্মা নিপাত যাক,

ভালোবাসা মানবতা আসুক অন্তরে

ভেদাভেদ ভুলে এক আত্মা হয়ে যাক। 


বীর জোয়ানের রক্তে রাঙানো ভারতের মাটি

শোকাহত মায়ের চোখের জলে ভেজা পথে

বীর শহীদের অশরীরী আত্মা 

অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ঘুরে বেড়াবে প্রতিরাতে।


স্বজন হারানোর মরমী ব্যথায়

কাঁদছে গ্রহ তারা কাঁদছে ভারতবাসী,

সন্তানহারা জননী কাঁদছে

পাঁজরভাঙ্গা দুঃখ রাশি রাশি।


জানি এ দুঃখের দিন যাব ভুলে

প্রতিকারের শান্তি যদি আসে অবনী পরে।


যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই বারুদের গন্ধ যাক মুছে,

বন্ধ হোক হিংসা কামানের গোলা গুলি

হারিয়ে গেল যারা আবার ফিরবে কি তারা ?

তাদের চরণে আমার শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি। 

Tuesday, September 21, 2021

I Live

 (Poem)

Tapas Sarkar

Call me failure

When I fail 

To recall you, a joyous life;

Call me failure

When I fail 

To return back, a spiritual-religious controversy;

Call me failure

When I fail

To evolve myself, a destined mystic-purist;

Anyway, I define my identity, the oneness,

For, the flight I take, I never come down,

The Earth I fall over, I never try to soar again,

Rather, I live simply.


#mystic_purist


Sunday, September 19, 2021

Luvophile

(Poem) 

Tapas Sarkar

Alone I walk into the late night Earth,

The moon, I see melting into the darkness 

With no adieux,

And then, I stay sleepless 

Looking at stars until the rain comes,

But it is always too late;

Rather, I drink a drop of dew

Fallen from the dawning silhouette,

In the morning I suffer reincarnation, a new life. 

You call me nyctophile, astrophile, selenophile…

Her absence keeps my pluviophile suffering,

Her refusal defines my Luvophile abrupt. 



Thursday, September 16, 2021

পালক

(কবিতা)

তাপস সরকার


ভোর পলাশের গন্ধে এক জোনাকি খাবি খায়, 

পাখির পালকের মত কোমল বঙ্গভাষার ঠোঁট 

অপেক্ষা করে এক সবুজ পাতার, 

সে অপেক্ষা করে সবুজ বন, সবুজ গ্রাম ও জীবনের;

দিন শেষে সে ক্লান্ত হলে 

অপেক্ষা করে গঙ্গা, মহানন্দার ধারে চিরকুট জঙ্গলে, 

দূর থেকে সবুজ

পাতার ভেলা তরী সেজে ভেসে আসে হৃদয় বালুচরে,

কি হবে হৃদয় অনুরাগে?

সন্ধ্যা নামলেই বৃহস্পতি, শুক্র বিভিন্ন হয়ে পরে, 

তবু নির্লজ্জ চোখ চেয়ে থাকে

এক নিস্পাপ তারার দিকে।


Tuesday, August 31, 2021

অন্তরালে

(কবিতা)

তাপস সরকার

কে ডাকে তোমায়, তোমার নাম না জেনে?

কর্কশ সুরে ভেসে আসে গান তাতে নারী, পুরুষ, যন্ত্রের 

হট্টগোলে তোমার নামের শেষ অক্ষর শোনা যায়,

পাখিরা ধর্মঘট করে পাকা ঘরের ছাদে

মেঘের আদরে সূর্যের রোদ দেরিতে ওঠে

বৃষ্টির দুএক ফোঁটা শুকনো কাপড় ভিজিয়ে যায়, 

তুমি নির্বিকার হয়ে বসে থাকো যন্ত্রের মত,

যন্ত্র হাতে তুমি মেরামত করতে চাও প্রাচীন প্রেমঘর!


তোমার সাক্ষাতে পরিচিত নদিরাও গোপন শর্তে

বিশৃঙ্খল ছুটে চলে সমুদ্রের ভারী জলরাশির আক্রমণে,

মুরুভূমির যন্ত্রনায় তুমি সাড়া দাও প্রসব শিশুর মত,

উত্তপ্ত বালির পাহাড়ে একটি ক্যাক্‌টাস জন্মালে

তুমি উবু হয়ে আলিঙ্গন কর, চুম্বনে নাও প্রজন্মের ভার!

তুমি বিচক্ষণ, তুমি স্বাধীন যতক্ষণ তুমি 

বিশ্বাসী বীবরে; সমাজ, সংস্কৃতি, হৃদয়ে নয়

তুমি জীবন্ত তোমার রক্ত, শরীর, কঙ্কালে;

 

কে ডাকে তোমায়, তোমার নাম না জেনে!

না, তুমি বরং নির্বিকারই থেকো, তোমার শরীরের গন্ধে

হঠাৎ বৃষ্টি এলে ওই মুরুভূমিতেই আশ্রয় নিও 

ক্যাক্‌টাসের আলিঙ্গনে; সম্পূর্ন নদী হয়ে নয়, 

বয়ে চল পাথার নালার মত ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, বিন্নাফুলে

যেখানে ছোট মাছ, ছোট গাছ, ছোট ছোট জলপোকারা 

অস্থায়ী-স্থায়ী কলোনি গড়ে তোলে স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর;

অজানা ডাকে আজ আর সারা নয়, বয়ে চল অন্তরালে।


Saturday, August 21, 2021

ভ্রমরুচিভ্যোম

(কবিতা)

~তাপস সরকার

ক-কেল্লা খ-ক্ষীর গ-গাছিয়ে ঘটোৎকচ,

ঙ-ঙাচি চ-চালাকি ছ-ছটপটিয়ে জলন্ধর,

ঝ-ঝঞ্ঝা ঞ-ঞৈরৈতে ট-টুপিবাদে ঠ্যাঙ্গামী,

ড-ডাঙ্গুরী ঢ-ঢঙ্গেশ্বর ণ-ণত্বষত্বজ্ঞানে তান্ডবী,

থ-থমাসথমাস দ-দাদাগিরি ধ-ধান্দায় নুনুপুজা,

প-পলাতক ফ-ফকিরবাবা ব-বোবাকান্নায় ভরপুর,

ম-মঁচশিল্পী য-যশস্বী র-রঙ্গতামাশায় লজ্জাহীন,

শ-শষ্পবিভব ষ-ষাড়ামী স-সবজান্তায় হাতুড়ি,

ড়-ড়ূঙ্গূরু ঢ়-ঢ়ৈকৃচ্ছামী য়-য়িংচিংপিঙ্গিয়ে ৎতৎকর্মবিনাশ

ং-কিংকর্তব্যবিমূঢ়,

ঃ-দুঃখভোগী,

৺-ইন্দুবিন্দুমোনালিসাকারুকার্যঅনন্তে অসাড় ক্ষুধার্ত।



Wednesday, August 18, 2021

নির-অ-শিক্ষা

(কবিতা)

~তাপস সরকার








কোথায় তোমার উচ্চ চিৎকার?

কোথায় সামাজিক নির-অ-শিক্ষার ধর্মঘট?

চোখ খুলে দেখ মানুষ নয়, শিশুরা-

শিশুরা মরছে, চলছে অন্ধ ধর্মের রক্তাক্ত গোলাগুলি, 

বিজয়ী হয়েছে মাংস লোলুপের,

ঘর ছাড়ছে মানুষ মানুষের ভয়ে,

পুরুষ পুরুষের, নারী পুরুষের ভয়ে,

শিশু মৃত্যুর ভবিষ্যতে,

কেন?

প্রশ্ন করেছ কখনো? নিজেকে,


আহ্! সময়ে ত ধর্মকে তোমরা কুলাঙ্গার বল,

আবার সুযোগ পেলে ধর্মের বারুদেকে কর কোলাকোলি,

নিরপেক্ষতার স্বাদ স্লোগানের শব্দে খোঁজ,

লাল কিংবা সবুজ না হলে পৃষ্ঠপোষকে চালাও গুলি। 

এই ত তোমাদের স্বাধীনতার অর্থ সম্প্রীতি,

কেউ স্বদেশ প্রেমের গান গাইলে প্রশ্ন কর 

স্বাধীনতা কি? 

বল ধার্মিক নয়, সেক্যুলার হয়ে স্বাধীন হও

দেখবে মানবিকতার আঁকিবুকি!

কেন?

সেক্যুলার হলেই কি স্বাধীন তুমি?

কখনো প্রশ্ন করেছ আসল সেক্যুলার এর অর্থ কি?


আজ কোথায় তোমাদের উদগীরণ সমতার?

কোথায় সমান, নিরপেক্ষ, মানবিকতার রঙিন রঙিন ফ্ল্যাগ বহর?

আসলে শিক্ষাটা তোমাদের এক পৃষ্ঠার,

বিপরীত পোশাকের ভিরুতায়

মানবধর্মের অর্থ বোঝ ভুল;

শিক্ষাটা তোমার গোঁড়ামি আসল অধর্মের ছোবলে,

তাই, তৃপ্তি থাকো কাবুল, ক্যালকাটা, লাহোর, কাশ্মীর- 

২১, ৪৬, ৪৭, ৯০, ৯২... এর শিশুরা হত্যা হলে।


Tuesday, August 17, 2021

CuRe

 (Poem)

~Tapas Sarkar


Oozing

Sorrows

From

The

Broken

Eye

Killing

The

Destiny

Of

Tomorrow's

Seclusion

I

Devour

The

Elixir,

Panacea.


Sunday, August 15, 2021

স্বদেশ প্রেম

 (Essay)

~তাপস সরকার


  আজ পঁচাত্তরতম স্বাধীণতা দিবস। সকল ভারতবাসীর আজ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর দিন। নিঃসন্দেহে এই দিনটির অপেক্ষায় উদ্বিগ্ন হয়ে আমরা সবাই চেয়ে থাকি উজ্জাপনের এক চরম আনন্দে। বিশেষ করে আমাদের বীর সৈনিকরা যারা সীমান্তের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলে দুঃসাহসী সংগ্রাম করে চলেছে তাদের আনন্দে বুকে সাহস আর স্বদেশ প্রেমের বোধটা তীব্র হয়ে ওঠে। হয়তো ওরা না থাকলে স্বদেশ নামক স্বাদটা জানা কঠিন ছিল। আজকের ইতিহাসের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠা ওদের আত্ম বলিদানের রক্তে ভেজা না থাকলেও স্পষ্ট গন্ধ পাওয়া যায়, সংগ্রামী হৃদয়ে শোনার শক্তি থাকলে শুনা যায় ওদের ১৯৪৭ কিংবা তার পূর্বের যুদ্ধ কালীন কথোপকথন। তাই, সর্বপ্রথম, স্বাধিনতার সহস্র শ্রদ্ধাঞ্জলি আমাদের জন্মভূমি মায়ের বীর সন্তানদের। একইভাবে সর্ব শক্তিমানের কাছে প্রার্থনা প্রত্যেক ভারতবাসীর স্বাধীন চিন্তা ধারায় স্বাধীন ও শ্রেষ্ঠ ভারতের রূপ যেন সঞ্চিত থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন হোক প্রতিবছরের প্রত্যেকে মুহূর্তে প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিত্বে। 


    তবে ১৫ই আগস্ট কেবল পতাকা উত্তোলন আর সঙ্গীত বাজিয়ে নয়, এই স্বাধীনতার আনন্দ অনুভূত হোক প্রত্যেক হৃদয়ের স্পন্দনে, যে স্পন্দন কখনো বন্ধ হবার নয়। স্বাধীনভাবে বাচার অধিকার স্বাধীন চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে সমৃদ্ধ হোক। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই সুশীল চরিত্রের সমাজ গঠনে, যে সমাজ আমাদের দেশকে চালিত করবে তার শ্রেষ্ঠ আসন গ্রহণে। কেবল ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা আমাদের সমাপ্ত সংগ্রাম নয়, কারণ আজও আমরা স্বাধীন হতে পারিনি অনেক পরাধীনতা থেকে, কুসংস্কার, কুশাসন ও কু-অভ্যাস থেকে। তাই এই স্বাধীনতার সংগ্রাম চলতে থাকবে অনর্গল আমাদের ব্যক্তিগত পরিসর থেকে সামগ্রিক এর দিকে। ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নেব সংগ্রাম মনুষ্যত্ব স্বাধীনতার, ঘৃণা-হিংসা নয়। বীর পুরুষদের প্রেরণায় আমরা এক লক্ষ্যে কেন্দ্রিভুত হব মানব ধর্ম রক্ষায়, তবেই ভারতীয় হয়ে আবার গর্ববোধ করতে পারব। একসঙ্গে গর্জে বলতে পারব, 'We are Bharatiya (Indian), the entire world is our home'.


  সর্বপরি, দেশের নাগরিক হিসেবে এখন আমাদের ন্যূনতম কর্তব্য, স্বাধীনতার ঐতিহাসিক তত্ত্ব উদঘাটন অপেক্ষা আত্ম মনন ও পার্শবর্তী মানব ধর্মের সংকট মোচনে, অল্প হলেও ক্ষুদ্র আত্ম ত্যাগ স্বীকারে, আর সব কিছুর পর্যবেক্ষণে আমাদের এখনকার অবস্থান নির্ধারণে। কোন পরিস্থিতিতে আমার স্বাধীনতা, আমার স্বাধীনতার গণ্ডি কতদূর। এসব সাধারণ মৌলিক জ্ঞান থাকলেই পরবর্তী যুগের সংবিধানে স্বাধীনতার অর্থ কি হবে তার সঠিক আভাস পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার আত্মকেন্দ্রিক সঙ্গার অবসান ঘটে সার্বিক, সনাতন স্বাধীণতার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।


     স্বামী বিবেকানন্দ এক সময় বলেছিলেন, Arise, awake and do not stop until the goal is reached. অর্থাৎ, জেগে ওঠে উদিত হও আর থেমো না সংগ্রাম যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাচ্ছ। আমি জানি স্বামীজির এই বাণী চিরন্তনভাবে ভারতবাসীর অন্তর্নিহিত সত্তাকে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপিত করে সংগ্রামী করে তোলে ভবিষ্যত নতুন ভারত নির্মাণে, আর আমরা ক্ষুদ্র স্বার্থের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নতুন ভারত সংকলনের এক বৃহৎ লক্ষ্যে নিয়োজিত হয়েছি অজান্তে কিংবা সজ্ঞানের আন্দোলনে। এই নতুন ভারত শ্রেষ্ঠ স্বাধীন ভারত, যে ভারতে ভারতীয় আর ভারতের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, বিভেদ নেই ভারত আর ভারত মাতার অর্থের তাৎপর্যের, না জাতির, না ধর্মের, না বর্ণের। যে ভারতে ক্যাপিটালিস্ট ও সোশ্যালিস্ট একই দৃষ্টির আলোকে ক্ষুধার্ত শিশুকে দেখে একটি প্রাণ হিসেবে, না অর্থ, না ক্ষমতার ভগ্ন মনুষ্যত্বে। যে ভারতবর্ষে এক সাধারণ নিঃস্ব, নিঃস্বার্থ, পরোপকারী পূজিত হয় ভগবানরূপে; প্রেম ও পারস্পরিক বোঝাপড়া যেখানে জীবন প্রবাহ, স্বদেশ ভূমি যেখানে মাতৃসম, ধর্ম যেখানে আত্মিক বিজ্ঞান, শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রেম- সেই নতুন শ্রেষ্ঠ স্বাধীন ভারত।





Saturday, August 14, 2021

বিচিত্র আঠারো

 (কবিতা)

 গুণধর ভাণ্ডারী 

আঠারোর ঝড় ওঠে চারপাশে কলরব

শুধু কি ব্যাগের বোঝা আঁকিবুকি ব্ল্যাকবোর্ড?

ময়রার দোকানেও  জিলিপির ছাঁচে কেউ 

মুদির দোকান গিয়ে বুঝে নেই অঙ্ক সেও। 

শেখে নেয় অ আ ক খ জীবনের অক্ষর 

আরও কত রিকশায়  টাই পরা ভদ্দর। 

ঘামেভেজা আঠারোর দেশ চলে শিক্ষায় 

চাকরির ঝুড়িবোঝা সন্ন্যাসী দীক্ষায়। 

নতুন নিয়ম সবে দিতে হবে শিক্ষা 

চাকরি চাইলে শুধু বড় জোর ভিক্ষা। 

নীতি সব চোরেদের পড়াশোনা অজানা 

বেকার কি নেই দেশে! বখাটের খাজনা। 

আর কিছু রাস্তায় ঘুরে ফিরে চারপায়

নেতাগিরি টিটকারি পেটপুরে ঘুশ খাই। 

পড়াশোনা হয়রানি পুলিশের লাঠিতে

অনশনে জেগে রাত অবশেষে মাটিতে। 

লুটিয়ে পড়ে সব কাগজের কারখানা 

দিনরাত এক করে পড়েছিলএকটানা। 

মায়ের আঁচল ধরে কেঁদেছিল ইস্কুলে 

কেউ যেন বলেছিল ভাগ্যের দ্বারখুলে। 

দাদা দিদি জানে ঠিক কাকে কি দিতে হয় 

 চপ মুড়ি ভেজে দেখ চাকরিতে আয়ু ক্ষয়। 

তাই বুঝি এতদিনে ক্লাব আর কেন্টিনে

আঠারোর ঝড় চলে বখাটের রুটিনে। 

ক্লাস নেই অচল সব করোনার গন্ধে

মিছিল দিচ্ছে ডাক চপ মুড়ি ছন্দে। 

বাকি সব মূর্খরা করে শুধু সরগোল

ভারী ডিগ্রিতে মাথা হয়েছে গণ্ডগোল। 

ইস্কুল ক্লাব হবে প্যারাদের বেতনে

মাথায় পড়বে ইঁট শিক্ষক শাসনে। 

পরীক্ষা নেই আর শাস্তি নেই ভয় 

কলেজের ভর্তি নেতাদের রং হয়। 

রাজনীতি দিনশেষে ধর্নার দাবিতে 

পাশফেল নিয়ে যায় পেয়াদার গদিতে। 

জমিবাড়ি বেচে শুধু ভর্তির যোগানে

চাকরির কারখানা নেতাদের দোকানে। 

 ঘুমের আঁচড় কারো যন্ত্রের বালিশে

 শিক্ষিত প্রাণ কত হারিয়েছে নালিশে। 

তবুও স্বপ্ন দেখা আঠারোর নেই কাজ

সুদীর্ঘ ঘুমের দেশে বিচিত্র আঠারো সমাজ।

Friday, August 13, 2021

বন্ধু

(কবিতা)

~রতন সরকার

আমার প্রিয় বন্ধুরা তোমরা কোথায়,

তোমাদের খুঁজি অতীত স্মৃতির মাঝে;

তোমরা পাড়ি দিয়েছো বহুদূরে জীবনের কর্মে,

আজ আমি একাকীত্ব নিজস্ব ঘরে,

বন্ধু তোমরা আমার শত্রু, তোমরা আমার মিত্র,

অন্ধকারের পথে আলোর বাতি,

আলোর পথে অন্ধকার;

দুঃখের পাশে দাঁড়িয়ে দুঃখ ভাগ করে নেওয়া,

আনন্দের সময় উচ্ছ্বাসে হারিয়ে যাওয়া,

বন্ধু তোমরা আমাকে ভুলে যেও না;

বন্ধু আমি সেই অপমান,

আমি সেই অবহেলা,

আমি সেই নতমুখ;

আমি সেই নির্বোধ,

আমি সেই ফিরে আসা প্রত্যাখ্যান,

বন্ধু আমায় গ্রহণ করো;

Thursday, August 12, 2021

ভয় নিবৃত্তি-র

 (কবিতা)

~তাপস সরকার

আজ থেকে প্রায় একুশ বছর আগে 

আউলা দীঘির বিপরীতে হরিবাসরের প্রসারে 

ওর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়, 

আমি নির্ভীক যোদ্ধার আভরণে হাজার সৈন্যের

এক ক্লান্ত কাঠ পিপড়ের সাথে লড়ছিলাম,

যদিও যুদ্ধে জেতার ইচ্ছে ছিলনা কারোর

অজ্ঞাত পরিচয়ে পরিচিত হবার প্রচেষ্টা ছাড়া,

ওর ডালেই আমি প্রথম শুনেছি তোতাপাখির গান

সবুজ পালকে ওর সবুজ পাতায় হারিয়ে যেতে,

আমি দেখেছি রঙিন ফার্ন ওর শরীরে জড়িয়ে থেকে

প্রজাপতি, ফড়িঙের দল ওর শাখা প্রশাখায় লুকোচুরি খেলতে,

আমি দেখেছি অনেক আশ্রয়, ঘরবাড়ি ছোট ছোট প্রাণ, সৃষ্টি,

ওর পৃথিবীতে ও নিজেই হয়ে সৃষ্টির কান্ডারী,

একদিন এক ঘোর দুপুরে ওর শিকড় আশ্রয়ে

আমি ওর নাম দিয়েছিলাম 'হে বিশাল বট, তুই বটেশ্বরী,'


আজ একুশ বছর পরেও ও বিবর্তিত যৌবন,

আমি আবছা আলোর সম্মোহনে ওর ছায়াতলে

বারবার দেখি আমার শৈশব খেলা ছবি,

কখনো একা, কখনও বা সহচর সঙ্গীদের সাথে 

ওর শিকড়ে ধূসর কাণ্ড, সবুজ পাতায় গড়ছি ঘর, 

সেদিন শৈশব থেকে আজ আমি যৌবন 

বিষাক্ত বিবেকে সৃষ্টিকে নিয়ে করেছি অস্পষ্ট গবেষণা,

জীবন প্রবাহের তুলকালামে হয়েছি বিচ্ছেদ-

তবে আমি ওর প্রতিচ্ছবি দেখি আমার গভীর চিন্তায়, 

শুধু স্বপ্নের প্রকোষ্ঠে নয়, ও আজ স্মৃতি, হৃদয়, শরীরে 

প্রকাশিত হয় অকৃত্রিম সংবেদন, সংবাদে,

আজ একটাই ভয় হয় আমার যৌবনের বিপরীতে

ও যদি আচমকা বিস্ফোরিত হয় আমার আচরণে!

কিংবা, ও যদি কপালকুণ্ডলার নিবৃত্তি হয়ে আত্মত্যাগ করে

কোনো অস্বাভাবিক সম্মোহনের শিকারে!



Monday, August 9, 2021

मजबूरी

 (शायरी)

~Tapas Sarkar

उससे अब इतनी बात नहीं होती

पहले जैसी होती थी।।

उसकी अब बस याद आती है मजबूरी में, 

क्योंकि दर्द को सहना उसने ही सिखाया

और मजबूर होना भी।।


Sunday, August 8, 2021

তোমার স্বর

 (কবিতা)

~তাপস সরকার

আজ আট দশক পরেও তোমার বিয়োগে 

চোখ কালো ঘন ঘটিকায় মূর্ছা যায় আমাদের কণ্ঠস্বর,

তোমাকে স্মরণে বার বার জীবন্ত ছবিতে

তোমায় দেখি মানব বন্ধনের ভগবান রূপে, 

তোমার স্বত্তা পূজা করি জীবনের ঠাকুর ঘরে

প্রত্যেক ভোর, দুপুর, সন্ধ্যা, ও রাতে, গভীর কুহকিনী সংকটে,

তোমার অপেক্ষায় জ্ঞান, ভিক্ষা, প্রেম চর্চা করি আমরা

আবার নিজেদের এক বন্ধনে বাঁধব বলে,

কিন্তু কারোর সাহস নেই সেই পর্বতারোহণের- 

নেই সুস্থ পাঞ্জা বুক ফুলিয়ে আপন সুরে গাইবার,

তাই দু এক খানা নতুন সুরে গান লিখলেও 

স্বভাব তাড়নায় ছুটে যাই তোমার ঈশান সঙ্গীতে,

তোমাকে আমরা সঞ্চারী করি ধমনী শিরায় চিত্তে 

তোমার স্বর, তোমার রচনা, তোমার দর্শন

তোমার প্রতিষ্ঠার আমাদের এই সমাজে আবার গাইব বলে।।


BEAUTY vs EVIL in Henry James' "The Turn of the Screw”

 

(article)

~Tapas Sarkar

      The story of “The Turn of the Screw” is fundamentally about the struggle between Good and Evil. Here the fight is between the Good characters and the bad (Evil) characters for the Beauty which refers to the children. 

    So, first of all, if we divide the characters, we get three type of characters-

Evil characters: 

a. Peter Quint (the main ghost, devil)

b. Miss Jessel (her character is obscure, who is giving accompany to Quint)


Good characters:

a. The Governess (who is trying to save the children, rather overprotecting them)

b. Mrs. Grose (who is the actual good character, she takes care of the children, does not see the ghosts, she just is loyal and obedient to the family)


Innocent characters (beautiful puppets):

a. Miles (possessed by Peter)

b. Flora (possessed by Jessel)…..according to the Governess only ***

    Here, the children are the centre. They are beautiful and cute; and being that much pretty and admirable they can never be bad or evil. They must be innocent and impeccable which both the Governess and Mrs Grose believe in the very beginning of the story. To them Physical appearance (their Beauty) and Morality (their Innocence) are strongly related, indispensably connected. Throughout the story, there are a lot of references to the connection between Physical appearance (Beauty) and morality (Innocence). We see, in the Bly house, Mrs. Grose says "Look at her!"….the Governess praises Flora’s beauty (morality); and when the letter from the school indicates that Miles is not a good boy, the Governess and Mrs. Grose try to equate their physical charms with goodness. Mrs. Grose tells Governess that she must see Miles first, and then she will realize he could not be bad any more than Flora could be. When the governess sees Miles she decides that Miles must be good, and her evidence is the same as Mrs. Grose's. They believe that the goodness of the children is shown on the children’s beautiful faces.

    But, gradually the Governess discovers that the beauty could be paired with the evil. She cannot accept the children being disobedient to her. The children whom she saw beautiful, became ugly with the strong connection to the evils. In one place she says “I’ve said it already—she was literally, she was hideously hard; she had turned common and almost ugly.” But, when she looks at the children, she just gets attractive of their charm and she has to protect them. Somehow she promises to protect the children. But, she cannot understand that Beauty can be Evil or good or her own overpowering protective nature can be evil. She continuously keeps fighting against the evil through the children’s body until the death of Miles; and finally finds that her overprotecting nature is failure or not at all good. Because, where the evil peter Quint has destroyed Miles’ soul, the inner spiritual beauty, on the other hand the Governess is indirectly responsible for the physical death of Miles. Thus, the entire story is about Beauty vs Evil and at the same time Beauty vs Goodness/morality (overprotective nature of human beings) too.

    The fact is that we cannot judge someone by his/her outlook, appearance. A beautiful man/woman can be harsh in his heart and an old, ugly man/woman can be good (cute) by his/her heart. The external beauty does not always reflect the inner beauty. In the 19th century, the external appearances were equated with GOOD or BAD which even nowadays we believe often. Henry James’ story “The turn of the Screw” shows the same. 


Saturday, August 7, 2021

শব্দ প্রকাশ

(কবিতা)

~তাপস সরকার






তোমরা আমায় জিজ্ঞেস কর ঘোড়া, হাতি, কালো কাক,

কেন আমি লিখি ভাঙ্গা হাঁড়ি, হরিণ, পাখি আর কঙ্কালের ছবি,

কেমন আমি লেখার আগে সাত সমুদ্রে ডুব দিয়ে

মানুষের হাতে খড়ি নিয়ে সাদা সাদা, কালো কালো আঁকি;


তোমরা আমায় দোষারোপ কর কুল, কাগজ, জানালা,

কেন আমি সূর্য, মাটি, ঘর আর স্বপ্ন কল্পনা নিয়ে ভাবি,

কেমন আমি বৃষ্টি ঝটিকায় তীক্ষ্ণ নদীর প্রাংশু প্রবাহে 

কাগজ নৌকায় বেরিয়ে পরি গভীর সমুদ্রের দলে;


তোমরা আমায় নজরে রাখো ঘুম, ভাত, সবুজ মাঠে,

কেন আমি মুক্তি চাই তোমাদের ক্ষুধা, অর্থ, দূষিত চিন্তা থেকে,

কেমন আমি লিখতে চাই রক্ত দিয়ে নয়, শুধু শব্দ দিয়ে 

স্বার্থপরের মতন আমি আমি বলে আত্ম প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে;


তোমরা আমায় ঘৃণা কর কিংবা অন্ধকারের নিস্পাপ বল,

কেন আমি খুঁজি আবোলতাবোল কুয়াশায় আলো, আকাশ, মন,

কেমন আমি হতাশ, ধার্মিক, দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানী হয়ে

বোবা শিশুর কান্নায় উচ্চ ভাবনার ছোট্ট আবেগে কেঁদে ফেলি; 


আমি জানি...

তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তরে আমি প্রস্তুত নই, হয়ত পারবনা নিশ্চয়,

তবে, ইচ্ছে হয় তোমাদের শব্দে কথা বলি, ভাবি কিছু নালিশ,

তাই তোমাদের জিজ্ঞেস, দোষারোপ, চোখ, কিংবা অন্ধকারে

আমি আমার আমি হয়ে মতামত প্রতিষ্ঠায় আত্মবাদি হয়ে পড়ি;


জানিনা তোমরা তোমাদের ভাষার সংলাপ কিভাবে বোঝ, 

আমি শুধু আমার ভাষার সংকল্পে চেষ্টা শব্দ প্রকাশের করি।।


Friday, August 6, 2021

কবিতা আমার

 (কবিতা)

~Ratan Sarkar

কবিতা আমার জ্ঞান

কবিতা আমার ধ্যান

আবেগ বিবেক এর আত্মপ্রকাশ

কবিতা আমার দেবজ্যোতি আলো

সুভাষের সুপ্রকাশ,

লেখায় লেখায় কথা বলা

কবিতার সাথে পথ চলা

কবিতা আমার অস্ত্র হাতিয়ার

যুদ্ধে শামিল হওয়া,

কবিতা লেখা জীবনের সাধনা

কবিতা আমার ঈশ্বরের আরাধনা

দুঃখ কষ্ট হাসি কান্নার কিছু কথা

সমাজ পরিবেশ এর আধারের মাঝে

কবিতায় শামিল হওয়া,

কবিতা আমার ধ্যান

কবিতা আমার অস্ত্র

কবিতা আমার প্রাণ

কবিতা আমার জ্ঞান।

Thursday, August 5, 2021

Peace for Peace

(poem)

~Tapas Sarkar






Longing for peace means silence,

Longing for silence means unspoken,

Longing for unspoken means soundless,

Longing for soundless means preserving vigor,

Longing for preserving vigor means Abstinence,

Longing for abstinence means possibility,

Longing for possibility means creation,

Longing for creation means newness,

Longing for newness means beauty,

Longing for beauty means truth,

Longing for truth means equilibrium,

Longing for equilibrium means waveless,

Longing for waveless means silence,

Longing for silence means knowledge,

Longing for knowledge means peace,

Longing for peace means peace for Peace;