(কবিতা)
তাপস সরকার
কে ডাকে তোমায়, তোমার নাম না জেনে?
কর্কশ সুরে ভেসে আসে গান তাতে নারী, পুরুষ, যন্ত্রের
হট্টগোলে তোমার নামের শেষ অক্ষর শোনা যায়,
পাখিরা ধর্মঘট করে পাকা ঘরের ছাদে
মেঘের আদরে সূর্যের রোদ দেরিতে ওঠে
বৃষ্টির দুএক ফোঁটা শুকনো কাপড় ভিজিয়ে যায়,
তুমি নির্বিকার হয়ে বসে থাকো যন্ত্রের মত,
যন্ত্র হাতে তুমি মেরামত করতে চাও প্রাচীন প্রেমঘর!
তোমার সাক্ষাতে পরিচিত নদিরাও গোপন শর্তে
বিশৃঙ্খল ছুটে চলে সমুদ্রের ভারী জলরাশির আক্রমণে,
মুরুভূমির যন্ত্রনায় তুমি সাড়া দাও প্রসব শিশুর মত,
উত্তপ্ত বালির পাহাড়ে একটি ক্যাক্টাস জন্মালে
তুমি উবু হয়ে আলিঙ্গন কর, চুম্বনে নাও প্রজন্মের ভার!
তুমি বিচক্ষণ, তুমি স্বাধীন যতক্ষণ তুমি
বিশ্বাসী বীবরে; সমাজ, সংস্কৃতি, হৃদয়ে নয়
তুমি জীবন্ত তোমার রক্ত, শরীর, কঙ্কালে;
কে ডাকে তোমায়, তোমার নাম না জেনে!
না, তুমি বরং নির্বিকারই থেকো, তোমার শরীরের গন্ধে
হঠাৎ বৃষ্টি এলে ওই মুরুভূমিতেই আশ্রয় নিও
ক্যাক্টাসের আলিঙ্গনে; সম্পূর্ন নদী হয়ে নয়,
বয়ে চল পাথার নালার মত ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, বিন্নাফুলে
যেখানে ছোট মাছ, ছোট গাছ, ছোট ছোট জলপোকারা
অস্থায়ী-স্থায়ী কলোনি গড়ে তোলে স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর;
অজানা ডাকে আজ আর সারা নয়, বয়ে চল অন্তরালে।

No comments:
Post a Comment