(কবিতা)
গুণধর ভাণ্ডারী
আঠারোর ঝড় ওঠে চারপাশে কলরব
শুধু কি ব্যাগের বোঝা আঁকিবুকি ব্ল্যাকবোর্ড?
ময়রার দোকানেও জিলিপির ছাঁচে কেউ
মুদির দোকান গিয়ে বুঝে নেই অঙ্ক সেও।
শেখে নেয় অ আ ক খ জীবনের অক্ষর
আরও কত রিকশায় টাই পরা ভদ্দর।
ঘামেভেজা আঠারোর দেশ চলে শিক্ষায়
চাকরির ঝুড়িবোঝা সন্ন্যাসী দীক্ষায়।
নতুন নিয়ম সবে দিতে হবে শিক্ষা
চাকরি চাইলে শুধু বড় জোর ভিক্ষা।
নীতি সব চোরেদের পড়াশোনা অজানা
বেকার কি নেই দেশে! বখাটের খাজনা।
আর কিছু রাস্তায় ঘুরে ফিরে চারপায়
নেতাগিরি টিটকারি পেটপুরে ঘুশ খাই।
পড়াশোনা হয়রানি পুলিশের লাঠিতে
অনশনে জেগে রাত অবশেষে মাটিতে।
লুটিয়ে পড়ে সব কাগজের কারখানা
দিনরাত এক করে পড়েছিলএকটানা।
মায়ের আঁচল ধরে কেঁদেছিল ইস্কুলে
কেউ যেন বলেছিল ভাগ্যের দ্বারখুলে।
দাদা দিদি জানে ঠিক কাকে কি দিতে হয়
চপ মুড়ি ভেজে দেখ চাকরিতে আয়ু ক্ষয়।
তাই বুঝি এতদিনে ক্লাব আর কেন্টিনে
আঠারোর ঝড় চলে বখাটের রুটিনে।
ক্লাস নেই অচল সব করোনার গন্ধে
মিছিল দিচ্ছে ডাক চপ মুড়ি ছন্দে।
বাকি সব মূর্খরা করে শুধু সরগোল
ভারী ডিগ্রিতে মাথা হয়েছে গণ্ডগোল।
ইস্কুল ক্লাব হবে প্যারাদের বেতনে
মাথায় পড়বে ইঁট শিক্ষক শাসনে।
পরীক্ষা নেই আর শাস্তি নেই ভয়
কলেজের ভর্তি নেতাদের রং হয়।
রাজনীতি দিনশেষে ধর্নার দাবিতে
পাশফেল নিয়ে যায় পেয়াদার গদিতে।
জমিবাড়ি বেচে শুধু ভর্তির যোগানে
চাকরির কারখানা নেতাদের দোকানে।
ঘুমের আঁচড় কারো যন্ত্রের বালিশে
শিক্ষিত প্রাণ কত হারিয়েছে নালিশে।
তবুও স্বপ্ন দেখা আঠারোর নেই কাজ
সুদীর্ঘ ঘুমের দেশে বিচিত্র আঠারো সমাজ।

No comments:
Post a Comment